| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল আমরা আর আ‘লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবো না : চরমোনাই পীর


আমরা আর আ‘লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবো না : চরমোনাই পীর


রহমত নিউজ ডেস্ক     26 September, 2023     08:35 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, জনগণ দেশে ২০১৮ সালের মত আর কোন নিশি রাতের নির্বাচন হতে দেবে না। আমরা আর প্রতারকের মিষ্টি কথায় আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবো না।  দেশে মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অস্তিত্ব সংকটে পডার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ (২৬ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে প্রধান নির্বাচন কমশিনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যাানুপাতিক নির্বাচন (চজ) পদ্ধতির প্রবর্তন ও সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি টি এম মাহফুজ হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ঢাকা দক্ষিণ জেলার সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম প্রমূখ।

চরমোনাই পীর বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না। জনগণ আজ তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ওয়াদা দিয়েছিলেন যে তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, তিনি জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি তারা দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরে নিজেদের ক্ষমকার চেয়ার পাকাপোক্ত করেছে। আজকে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং বিদেশী তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। উন্নয়নের নামে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। সরকার প্রধান যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় ভিসা নীতি কার্যকর করার ঘোষণা সরকারের জন্য লজ্জাজনক। ক্ষমতাসীনদের কেউ কেউ ভেবেছিলেন বাইডেনের সঙ্গে ছবি তুলে সব সুরাহা করা যাবে। পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, জনগণের ভোট ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নীতি স্বাধীন সার্বভৌম জাতির জন্য সম্মানজনক নয়।